Advertisement

Durga Puja: উত্তর কলকাতায় সাজো সাজো রব! যেন সোনার আবরণে জ্বলজ্বল করছে দুর্গা প্রতিমা, ঘুরে দেখবেন নাকি?

ইতিহাস আঁকড়ে থাকে উত্তর কলকাতা, আবার এই কলকাতাতেই তৈরি হয় নতুন ইতিহাস। আকাশে বাতাসে আগমনি ধ্বনি। কাশের দোলা আর সাদা মেঘের ভেলা জানান দিচ্ছে পুজো আসছে। গ্রাম গঞ্জে যেমন প্রকৃতির নবরূপে সেজে উঠে জানান দেয় মায়ের আগমনি বার্তা। কলকাতার কুমারটুলির মায়ের প্রতিমা, শ্যামবাজার থেকে নিউমার্কেটের ভীড় বলে ‘মা এলো বলে।’ রথের দিন খুঁটি পুজো হয়ে গিয়েছে। গণেশের আগমনে পুজোর দিন গোনা শুরু। ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র কয়েক দিন। তবে মা আসেন মাত্র চার দিন। তারপর আবার সবার চোখে জল এনে ফিরে যান কৈলাসে। সে অর্থে দুর্গা মন্দির হাতে গোনা কলকাতায়। এক চালচিত্রে মা ও তার চার সন্তানের পুজো মাত্র চার দিন। তারপর বিজয়া হলে আরও এক বছরের অপেক্ষা। ‘আমরা কি মা দুর্গার একটি স্থায়ী আবাস দিতে পারি না?’
img 20220904 175844

এই ভাবনা থেকেই “শোভাবাজার বেনিয়াটোলা সার্ব্বজনীন দূর্গোৎসব কমিটি ” আর এক ব্যতিক্রমী ধারণার উদাহরণ রাখল। এবার থেকে ঘরের মেয়ে ঘরেই থাকবেন। দুবেলা আদর যত্নে থাকবেন। আর ভক্তদেরও মনবাঞ্ছা পূরণ করবেন। আজ রাধা অষ্টমীর পূণ্য লগ্নে পাকাপাকি ভাবে প্রায় পনেরো ফুট দৈর্ঘের গনেশ,কার্তিক, লক্ষী,সরস্বতী সহ অষ্টধাতুর দশভুজা দেবী মুর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করলো কলকাতার এই পুজো কমিটি।এবার থেকে দেবী এখানে নিত্য পুজিতা হবেন । আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর দেবীর প্রান প্রতিষ্ঠা হবে এবং সেই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করবেন কুমারটুলির প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পাল।

এই পাড়ার অধিবাসী অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “বাসস্থানের সুবাদে এবার থেকে প্রতিদিন মায়ের দর্শন পাবো এটা ভাবলেই মনটা আনন্দে ভরে উঠছে ।” জনসাধারনের কাছে দেবীর এই নিত্য দর্শনের ব্যাবস্থা যারা করে দিলেন সেই সকল পুজো কমিটির সদস্যরা। ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে তিনি এই সুখবরটি জানিয়েছেন। অবশ্য এই খবর পেয়ে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। তারা মন্তব্য করেছেন, ” বাইরে থাকি, পুজোর সময় সবসময় কলকাতা যেতে পারি না, খুব মন খারাপ হয়। এবার গেলে বছরের যে কোন সময় মায়ের দেখা পাব।” লাল বেনারসীতে সেজে উঠেছে অষ্টধাতুর দেবীমূর্তি। মা সরস্বতী থেকে লক্ষ্মী সকলেই পড়েছেন বাংলার ঢাকাই বা গরদ। পুজোর একমাস আগেই মন্ডপে অধিষ্ঠান করছেন মা দুর্গা। ভক্তদের জয়ধ্বনিতে পুজোর ২৬ দিন আগেই পাওয়া যাচ্ছে পুজোর স্বাদ।



Follow us on


Advertisement
Back to top button
Advertisement
Advertisement